অদ্য ১০-০৪-২০১৮ খ্রিঃ তারিখ বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় মেহেন্দীগঞ্জ থানা পুলিশের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা পার্কে জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম-বিপিএম, পুলিশ সুপার, বরিশাল এর সভাপতিত্বে “কমিউনিটি পুলিশিং এবং মাদক বিরোধী মতবিনিময়” সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিপিএম-পিপিএম, ডিআইজি, বরিশাল রেঞ্জ, বরিশাল, জনাব এ্যাডভোকেট মুনসুর আহম্মেদ, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, জনাব খোরশেদ আলম বুলু, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, জনাব কামাল উদ্দিন খান, মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভা মেয়র, জনাব মোঃ মোল্লা আজাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসবি, বরিশাল, জনাব দীপক কুমার রায়, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জনাব মোঃ আক্তারুজ্জামান, অফিসার ইনচার্জ, মেহেন্দীগঞ্জ থানা, জনাব মোঃ শাহআলম, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ মেহেন্দীগঞ্জ থানার বিভিন্ন ইউনিয়ন সমূহের চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র/ছাত্রী, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, কমিউনিটি পুলিশের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেনী পেশার লোকজন।
উপস্থিত জনসাধারন প্রধান অতিথির কাছে পুলিশের সেবার মান এবং আইন-শৃংঙ্খলা উন্নতিকল্পে নানা বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি তাঁদেরকে সর্বাত্মকভাবে আইনি সহায়তাদানে আশ^স্ত করেন এবং বলেন যে, “বাংলাদেশ আজ নি¤œ আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে, এটা ধরে রাখতে হলে অবশ্যই দেশ ও সমাজ থেকে মাদক, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে হবে। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত সমাজ গড়ার জন্য। আমরা মাদক এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির উপর ভিত্তি করে, আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখতে চাই। এক্ষেত্রে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। এসময় তিনি বিট পুলিশিং কার্যক্রম ও অভিযোগ বক্সের কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য আহবান জানান এবং অভিযোগ বক্সের মাধ্যমে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষকসহ মসজিদের ইমামদেরকে ক্লাসে ও জুম্মার নামাজের পূর্বে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদকের কুফল, ইভটিজিং, বাল্য-বিবাহ সম্পর্কে সচেতনতাামুলক বক্তব্য রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি আরো বলেন, মাদকের মামলা আগের তুলনায় দ্বিগুন হলেও মাদক কমেনি। মাদকের সাথে জড়িত হলে সেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন। কারণ এ পেশা অনেক লাভজনক। এ পথ থেকে ফিরে আনতে হলে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারের পর যে মামলা রুজু হয় সে মামলাগুলোর পরিচালনা ব্যয় মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে না নেয়া আর মাদক সেবীদের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থা করে সুস্থ্য জীবনে ফিরিয়ে এনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং উভয় পর্যায়ের ট্রেনিং যেমন ঃ- মটর ড্রাইভিং, দর্জি কাজসহ অন্যান্য কাজের মাধ্যমে নতুন কর্ম-সংস্থান করা। সভা শেষে ০২ জন মাদক সেবী/ব্যবসায়ি আত্ম-সমর্পন করলে প্রধান অতিথি তাদেরকে ফুল দিয়ে গ্রহণ করেন এবং প্রত্যেকে একটি করে সেলাই মেশিন উপহার দিয়ে বেলা ১৩.৩৫ ঘটিকায় সভা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করেন। সভায় ১১০০/১২০০ জন লোক উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস